জাতীয় যুব দিবসে নির্ভয়ের ‘ইয়ুথ আড্ডা’ অনুষ্ঠিত
জাতীয় যুব দিবস-২০১৯ উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘নির্ভয়’ এর আয়োজনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) অনুষ্ঠিত হল ‘ইয়ুথ আড্ডা’।
গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের গাহি সাম্যের গান মুক্তমঞ্চে বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে ২ ঘন্টাব্যাপী আড্ডাটি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শফিক বাপ্পী এবং এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ সুজন আলী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আসিফ ইকবাল আরিফ ও একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদ হাসানসহ প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী।
পড়ন্ত বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে আড্ডাটি। চাকরিতে প্রবেশের আগে পড়ালেখা চলাকালীন সময়ে তরুণদের উপার্জন, দেশের বিভিন্ন সমস্যা ও পরিত্রাণের উপায়, দেশের উন্নয়নে যুবকদের ভূমিকা, বেকারত্ব, শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয় আড্ডায়। দেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তরুণদের ভূমিকা কেমন হতে পারে সে বিষয়ে অনুষ্ঠিত হয় আইডিয়া কনটেস্ট।
উপস্থিত শিক্ষকদের বিচারে আইডিয়া শেয়ারিং পর্বের সেরা আইডিয়া হিসেবে লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালন বিদ্যা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হোসেন শুভ বিজয়ী হন। এছাড়াও গত মাসে সংগঠনের সেরা ভলান্টিয়ার হিসেবে শাখাওয়াত হোসেন সাকিব কে ‘বেস্ট ডেডিকেটেড স্টার’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
‘নির্ভয়’ এর প্রতিষ্ঠাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, জাতীয় যুব দিবসে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রত্যয়ে আমরা সকল যুবকদের নিয়ে এই প্রোগ্রামটি আয়োজন করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের তরুণদের একত্রিত করে সবাই মিলে বিভিন্ন সমস্যা ও সেগুলোর প্রতিকারে আমরা যুবকরা কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারি সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি তরুণদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে দেশ, প্রতিষ্ঠিত হবে আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা।
আয়োজনের দ্বিতীয় পর্বে ছিল চড়ুইভাতি। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সকল স্বেচ্ছাসেবীরা রান্না শেষে উপস্থিত অতিথিদের নিয়ে আপ্যায়ন করেন।
উল্লেখ্য, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘নির্ভয়’ ২০১৭ সাল থেকে সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বাস্তবায়নে কাজ করে আসছে। এছাড়াও সংগঠনটি শিশু শিক্ষা নিশ্চিতকরণ ও স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্যও কাজ করে যাচ্ছে।
জাতিসংঘ ঘোষিত ১৫ বছর মেয়াদি এসডিজির বৈশিষ্ট্য হল, এটি শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উন্নয়ন মনে না করে একই সাথে পরিবেশ সংরক্ষণ ও মানব সম্পদ উন্নয়নের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়।