তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হলে হাত-পা ধরে ক্ষমা চাইতে হবে”
সোমবার তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হলে হাত-পা ধরে ক্ষমা চাইতে হবে” শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে রাবি প্রশাসনের অপসারণ দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে একথা বলেন তিনি।
এর আগে গত শনিবার রাতে বিশ্ববদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক একরাম উল্যাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে বহিরাগতদের যুক্ত করার অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত নয় অক্টোবর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে আসার অভিযোগ উঠে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক্রাম উল্যাহর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। পরে লিখিত জবাব জমা দিলে তাতে সন্তষ্ট না হয়ে কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এক্রাম উল্লাহ বলেন, ৯ অক্টোবর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে আমার বিরুদ্ধে বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে আসার অভিযোগ তুলে আমার নামে তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কোন রকম প্রমাণ ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আপনারা ভালোভাবে তদন্ত করেন। যদি আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে প্রশাসনকে আমার হাত পা ধরে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববদ্যালয় একটি দায়িত্ব আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করা। মাননীয় উপাচার্যসহ তার প্রক্টরিয়াল বডি আমার মনে হয় তারা ঘাস কাটায় ব্যস্ত। এসময় তিনি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে কিভাবে প্রবেশ করে তা প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দেন।
মানববন্ধনে আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, প্রথমে যে নিয়োগ নীতিমালা ছিল তা বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ নীতিমালার মধ্যে একটি। সেটিই অনুসরণ করে বাংলাদেশ বিশ্ববদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সমগ্র বাংলাদেশের বিশ্ববদ্যালয় জন্য শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা তৈরি করেছেন। তবে এই বিশ্ববদ্যালয় প্রশাসন এসে তার মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নীতিমালাকে নিচে নামিয়ে এনেছেন। এটা কি দুর্নীতি না?
এর আগে রাবি উপাচার্যের ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান ও উপ-উপাচার্যের চাকরি নিয়ে ‘দরকাষাকষি’র অডিও ফাঁসের ঘটনায় প্রশাসনের অপসারণের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনের ঘোষণা দেয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একাংশ। প্রশাসনের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি সম্পাহে দুদিন করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।