শিক্ষাঙ্গন

প্রশাসনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল জাবিতে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের দুর্নীতির অভিযোগে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর আন্দোলন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যায় প্রশাসন। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে আবাসিক হল বন্ধ ও ক্যাম্পাসে সভা-সামাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। তবে এসব উপেক্ষা করেই বিক্ষোভ মিছিল করছে শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে পুরাতন রেজিস্ট্রারের সামনে থেকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর ব্যানারে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এর আগে বেলা ১১টার পর থেকে এক একে এসে ক্যাম্পাসে জড়ো হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সেখানেই উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের দুর্নীতির তদন্তের বিষয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন শিক্ষকরা।

তারা বলেন, আমার যে অভিযোগ করছি তা তদন্ত করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা তো গোয়েন্দা সংস্থার লোক না, আমরা কীভাবে উপাচার্যের দুর্নীতি প্রমাণ করব।

এই পরিস্থিতিতে সহিংসতাকে উসকে দিতে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

বৃহস্পতিবার সকালে পুরাতন রেজিস্ট্রারের সামনে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর ব্যানারে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, গতকাল শিক্ষা উপমন্ত্রী যে কথা বলেছেন সেই কথার সঙ্গে আমরা দ্বিমত পোষণ করছি। উনি আমাদের অর্থাৎ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রমাণ সহকারে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছেন। আমরা তো বিষয়টি প্রমাণ করতে আসেনি, আমরা অভিযোগ তুলেছি। এখন তদন্ত করে এই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্টদের।

এই অধ্যাপক বলেন, তদন্তে যদি উপাচার্য নির্দোষ হয়; তখন কোনো কথা হবে না। কিন্তু এটা প্রমাণ করার দায়িত্ব যখন কেউ নিচ্ছেন না তখনই আমরা আন্দোলনে নেমেছি।

এ দিকে, আজ বিকালে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে একটি প্রতিবাদী কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button