আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের জাদুঘরে অভিনন্দনের মূর্তি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

পাক সীমান্তে আটকের পর দেশে ফেরা ভারতীয় সেই উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান আবার ককপিটে চাপলেও তাকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষই হচ্ছে না।

পাকিস্তানে আটকের পর থেকেই খবরের শিরোনামে রয়েছেন এই ভারতীয় সেনাসদস্য।

তাকে নিয়ে একের পর এক খবর ছাপানোর সঙ্গে তার ছবিসহ শাড়ি বিক্রি করা হয়েছে ভারতে। তার মতো করে গোঁফ রেখেছেন কেউ কেউ। তার নামে সন্তানের নামও রেখেছেন ভারতীয়রা।

কিন্তু এবার অভিনন্দন নিয়ে মাতলেন পাকিস্তানিরা। এবার পাক জাদুঘরে জায়গা পেল অভিনন্দনের মূর্তি!

করাচিতে পাক বিমানবাহিনীর ওয়্যার মিউজিয়ামে এই ভারতীয় উইং কমান্ডারের একটি ম্যানিকুইন বসানো হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে ইতিমধ্যে সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে।

পাক সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আনোয়ার লোধি টুইটারে অভিনন্দনের ‘ম্যানিকুইন’-এর ছবি পোস্ট করেন।

তিনি লিখেছেন, পাক বিমানবাহিনীর মিউজিয়ামে অভিনন্দনের ম্যানিকুইন প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। তার হাতে চায়ের কাপ ধরাতে পারলে বিষয়টি আরও আকর্ষণীয় হতো।

আনোয়ার লোধির টুইটারে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অভিনন্দনের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন এক পাক সেনা। আর পেছনে কাচের পাটাতনে অভিনন্দনের ব্যবহৃত চায়ের পেয়ালাও দেখা যাচ্ছে।

সে টুইটের পরই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনায় মেতে ওঠেন পাকিস্তানের নেটিজেনরা।

অনেকেই বলেন, অভিনন্দনকে পাক কারাগারে আদর করে সম্মানের সহিত ফিরিয়ে দিলেও ভারতে গিয়ে বন্ধুত্বের সেই মর্যাদা তিনি রাখেননি। ভোল পাল্টে পাকিস্তানের নামে নিন্দা ও অপপ্রচার করেছেন। তাকে ভারতীয়রা বীর বলে আখ্যা দিলেও বস্তুত তিনি প্রতারক। আর সেই প্রতারকের মূর্তি পাকিস্তানের জাদুঘরে কেন স্থাপিত হলো তা বোধগম্য নয় তাদের কাছে।

এর আগে ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালীন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে পাকিস্তানের একটি চ্যানেলে অভিনন্দনকে নিয়ে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়েছিল। তা নিয়েও প্রবল কটাক্ষ ও সমালোচনা করেন ভারতীয়রা।

এবার পাক সেনাবাহিনীর ওয়্যার মিউজিয়ামে অভিনন্দনের মূর্তি সেই সমালোচনাকে আবার জাগিয়ে তুললই বলা চলে।

এদিকে পাক মিউজিয়ামে ভারতীয় এই উইং কমান্ডারের মূর্তি স্থাপনের বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেননি ভারতীয়রা। এ ঘটনায় পাকিস্তানকে সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বালাকোটে বিমান হামলার পর পাক সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি হন ভারতীয় বিমানবাহিনীর এই উইং কমান্ডার। পাক কারাগারে অবস্থানকালীন অভিনন্দনের চা খাওয়ার দৃশ্য সে সময় ভাইরাল হয়। আটকের ৫৮ ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেয় ইমরান সরকার। সেসব ঘটনা ওই জাদুঘরে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button