বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

টেলিকম সেবায় টাওয়ার শেয়ারিং নিয়ে অনিশ্চয়তা

টেলিকম সেবায় টাওয়ার শেয়ারিং কার্যক্রম নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। সেবাগ্রহণে মোবাইল অপারেটরদের আপত্তির কারণে প্রায় একবছরেও কোনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি তিন টাওয়ার প্রতিষ্ঠান। চলমান সমস্যা সমাধানে উভয়পক্ষের জন্য সার্ভিস লেভেল অ্যাগ্রিমেন্ট বা এসএলএ চূড়ান্ত করেছে বিটিআরসি। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মোবাইল অপারেটররা।

পরিবেশের সুরক্ষায় যত্রতত্র মোবাইল টাওয়ার স্থাপন বন্ধে ২০১৮ সালের নভেম্বরে চার প্রতিষ্ঠানকে টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স দেয় বিটিআরসি। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে শর্ত দেয়া হয় ৫টি।

চার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইডটকো লিমিটেডের আগে থেকেই টাওয়ার শেয়ারিং কার্যক্রম চালু আছে। তবে অন্য তিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেটওয়ার্ক সেবা নিতে আপত্তি তুলেছে মোবাইল অপারেটররা। তারা বলছে, নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে টাওয়ারে ৪ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে চায় টাওয়ার প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ব্যাটারি ব্যাকআপ প্রয়োজন ৮ ঘণ্টা। একইসাথে নেটওয়ার্ক ভাড়া বাবদ খরচ বাড়বে প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। সমস্যা সমাধানে এসএলএ চুক্তি চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বিটিআরসি। এতে আপত্তি জানিয়েছে মোবাইল অপারেটররা।

বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান জানান, বিটিআরসি প্রাইজ বলে দিচ্ছে, মিনিমাম প্রাইজ, আমরা যদি টাওয়ার বানাতাম তার থেকে ২৫ থেকে ৩০% বেশি।

রবির হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার শাহেদ আলম জানান, এ টাওয়ার কোম্পনিগুলোর ব্যবসাটা নিশ্চিত করার জন্য এটা করা হচ্ছে। যে অ্যাগ্রিমেন্টটা হওয়া উচিত দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতার মাধম্যে, সেটা না হয়ে আমাদের একটা অ্যাগ্রিমেন্ট দেয়া হচ্ছে এবং সেখানে আমাদের সাইন করতে বলা হচ্ছে।

তবে বিটিআরসি বলছে অপারেটরদের মধ্যে যেকোন সমস্যা সমাধানের এখতিয়ার রয়েছে তাদের।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, তারা যদি না পারে তাহলে সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারবে। বিটিআরসি তাদের উভয়ই পক্ষের কথা খেয়াল করেছে। কারও পক্ষে যায়নি। উভয়ই পক্ষেই যেন লাভ হয় উভয়ই পক্ষের যেন সুবিধা হয় এ ব্যবস্থা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে টাওয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো।

বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৩৭ হাজার টাওয়ারের মাধ্যমে ১৬ কোটি গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে চার মোবাইল অপারেটর।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button