বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বাংলাদেশের বাজারে সেরা ৬ গেমিং স্মার্টফোন

স্মার্টফোন এখন আর কেবল ফোনের ব্যবহারেই সীমাবদ্ধ নেই। স্মার্টফোন কখনো হয়ে যাচ্ছে গেমিং মেশিন আবার কখনো বা থ্রিডি ক্যামেরা। স্মার্ট ফোন কেন্দ্রিক গেমিং এর নেশা এখন তুঙ্গে। গেমের প্লেয়ারের সংখ্যা একদিকে যেমন দিনকে দিন বেড়েই চলছে তেমনি গ্রাহক সন্তুষ্টি ধরে রাখতে অন্যদিকে গেম গুলোতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন ফিচার আর হাই গ্রাফিক্স কম্পাটিবিলিটি।

স্মার্টফোন কোম্পানি গুলোও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। গেমগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে তারাও হাই কনফিগারের ফোন সেট প্রস্তুত করছে। বলা যায় স্মার্টফোন বাজারের একটা বড় অংশ ভিডিও গেমস গুলোকে পুঁজি করেই ব্যবসা চালাচ্ছে। কোম্পানি গুলো একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা করছে গেমিং সিরিজের ফোন দিয়ে।

বাংলাদেশেও এখন চলছে গেমিং ট্রেন্ড। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা বেশি ঝুঁকছে গেমিং ফোনের দিকে। গেমিং ফোন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে টপ প্রায়োরিটি থাকে হাই কম্পাটিবল গ্রাফিক্স, বড় ডিসপ্লে, লার্জার মেমোরি স্পেস বা র‍্যাম এবং চিপসেট অবশ্যই স্ন্যাপড্রাগন হওয়া চাই।

চলুন দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশের বাজারে বিদ্যমান সেরা ৬ গেমিং ফোনগুলো:

ওয়ান প্লাস সেভেন প্রো ১২/২৫৬

বাংলাদেশের বাজারে গেমারদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আছে এই স্মার্টফোনটি।

ফোনটিতে চিপসেট হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮৫৫ (SDM 855)। আট কোরের প্রসেসর যা ২.৮৪ গিগা হার্জ পর্যন্ত স্পীডআপ করতে সক্ষম। অক্সিজেন ওএস নাইন প্ল্যাটফর্মের সাথে অপারেটিং সিস্টেম থাকছে এন্ড্রোয়েড ৯.০ পাই। গ্রাফিক্স কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে এড্রিনো ৬৪০।

ফোনটির র‍্যাম ১২জিবি, থাকছে না কোনো মেমোরি কার্ড স্লট কিন্তু ইন্টার্নাল স্টোরেজ দেয়া হয়েছে ২৫৬ গিগা বাইট পর্যন্ত। এর ডিসপ্লে ৬.৬৭ইঞ্চি অ্যামোলেড স্ক্রিন। বাংলাদেশের বাজারে এর অফিসিয়াল মূল্য- ৭৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।

ওয়ান প্লাস সেভেন ১২/২৫৬

সেভেন এবং সেভেন প্রো এর চিপসেট, গ্রাফিক্স কার্ড, প্ল্যাটফর্ম এবং র‍্যাম স্পেসিফিকেশন হুবহু এক।

এর ডিসপ্লে ৬.৪১ইঞ্চি অ্যামোলেড স্ক্রিন। বাংলাদেশের বাজারে এর অফিসিয়াল মূল্য- ৫৫ হাজার টাকা।

 

ওয়ান প্লাস সেভেন টি প্রো ৮/২৫৬

ওয়ান প্লাস সেভেন প্রো এবং সেভেন টি প্রো এর কনফিগারেশন প্রায় একই। সেভেন টি প্রো, সেভেন প্রো এর আপডেটেড মডেল। কিন্তু বাংলাদেশে অফিশিয়ালি সেভেন টি প্রো এর ১২জিবি র‍্যামের ফোনটি না থাকায় গেমারদের পছন্দের তালিকায় পিছিয়ে আছে।

ব্যবহারকারীদের মতামত অনুযায়ী ভবিষ্যতে যদি ১২ জিবি র‍্যামের ফোনটি বাংলাদেশে আসে তবে এটিই প্রথমস্থান অধিকার করে নিবে।

ফোনটিতে চিপসেট হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮৫৫+ (SDM 855+)। আট কোরের প্রসেসর যা ২.৯৬ গিগা হার্জ পর্যন্ত স্পীডআপ করতে সক্ষম। অক্সিজেন ওএস টেন প্ল্যাটফর্মের সাথে অপারেটিং সিস্টেম থাকছে এন্ড্রোয়েড টেন। গ্রাফিক্স কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে এড্রিনো ৬৪০।

ফোনটির র‍্যাম ৮জিবি, থাকছে না কোনো মেমোরি কার্ড স্লট কিন্তু ইন্টার্নাল স্টোরেজ দেয়া হয়েছে ২৫৬ গিগা বাইট পর্যন্ত। এর ডিসপ্লে ৬.৬৭ইঞ্চি অ্যামোলেড স্ক্রিন। বাংলাদেশের বাজারে এর অফিসিয়াল মূল্য- ৬৬ হাজার ৯৯০ টাকা।

ওয়ান প্লাস সেভেন টি ৮/২৫৬

সেভেন টি এবং সেভেন টি প্রো এর চিপসেট, গ্রাফিক্স কার্ড, প্ল্যাটফর্ম এবং র‍্যাম স্পেসিফিকেশন হুবহু এক।

এর ডিসপ্লে ৬.৫৫ইঞ্চি অ্যামোলেড স্ক্রিন। বাংলাদেশের বাজারে এর অফিসিয়াল মূল্য- ৫৯ হাজার ৯৯০ টাকা।

অপ্পো রিনো টেন এক্স জুম

যদিও এটি মূলত ক্যামেরা ফোন, তবে ব্যবহারকারীদের ভাষ্য এর গেমিং পারফরম্যান্সও নেহাত খারাপ নয়।

ফোনটিতে চিপসেট হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮৫৫ (SDM 855)। আট কোরের প্রসেসর যা ২.৮৪ গিগা হার্জ পর্যন্ত স্পীডআপ করতে সক্ষম। কালার ওএস সিক্স প্ল্যাটফর্মের সাথে অপারেটিং সিস্টেম থাকছে এন্ড্রোয়েড ৯.০ পাই। গ্রাফিক্স কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে এড্রিনো ৬৪০।

ফোনটির র‍্যাম ৮জিবি, থাকছে শেয়ারড মেমোরি কার্ড স্লট (হয় দুটি সিম কার্ড নয় একটি সিম একটি মেমোরি কার্ড)। ইন্টার্নাল স্টোরেজ দেয়া হয়েছে ২৫৬ গিগা বাইট পর্যন্ত। এর ডিসপ্লে ৬.৬ইঞ্চি অ্যামোলেড স্ক্রিন। বাংলাদেশের বাজারে এর অফিসিয়াল মূল্য-৭৯ হাজার ৯৯০ টাকা।

শাওমি রেডমি নোট এইট প্রো

“সুপিরিয়র গেমিং এক্সপিরিয়েন্স” এই স্লোগান নিয়ে ফোনটিকে গেমিং ফোন হিসেবে ঘোষনা দিয়েই বাজারে ছেড়েছিলো শাওমি। বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে কমমূল্যের গেমিং ফোন বর্তমানে এটিই।

ফোনটিতে চিপসেট হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে হেলিও জি ৯০ টি (Helio G90T)। শাওমি জানিয়েছে এই চিপসেট টি লো বাজেট চিপসেটের মধ্যে সবচেয়ে ভালো গেমিং পারফরম্যান্স দেয় যা স্ন্যাপড্রাগন ৭১০ এর সমতূল্য বা অধিক। তাই তারা গেমারদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই চিপসেট ব্যবহার করেছে।

আট কোরের প্রসেসর যা ২.০৫ গিগা হার্জ পর্যন্ত স্পীডআপ করতে সক্ষম। এমআইইউআই টেন প্ল্যাটফর্মের সাথে অপারেটিং সিস্টেম থাকছে এন্ড্রোয়েড ৯.০ পাই। গ্রাফিক্স কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে মালি জি ৭৬ এমসি ৪ (Mali-G76MC4)।

ফোনটির র‍্যাম ৬জিবি, থাকছে শেয়ারড মেমোরি কার্ড স্লট। ইন্টার্নাল স্টোরেজ দেয়া হয়েছে ১২৮ গিগা বাইট পর্যন্ত। এর ডিসপ্লে ৬.৫৩ ইঞ্চি আইপিএস এলসিডি স্ক্রিন। বাংলাদেশের বাজারে এর অফিসিয়াল মূল্য- ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button