বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

স্বপ্নের মহাকাশ ভ্রমণ শেষে নিরাপদে ফিরলেন স্যার রিচার্ড

অনুপাতটি অবিশ্বাস্যরকম ক্ষুদ্র। মহাশূন্যের তীর ঘেঁষে মাত্র কয়েক মিনিট ওজনহীন অবস্থায় কাটানোর জন্য দীর্ঘ ১৭ বছরের সাধনা! আর এই কয়েক মিনিটকেই স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন বলছেন “এক জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা” এবং “নতুন মহাকাশ যুগের সূচনা।”

ব্রিটিশ ধনকুবের এবং অভিযাত্রী রিচার্ড ব্র্যানসন রোববার সকালে তার প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্যালাকটিকের রকেট যানে চড়ে মহাকাশ ছুঁয়ে সফলভাবে অবতরণ করেছেন ভূ-পৃষ্ঠে। তিনিসহ ভার্জিন গ্যালাকটিকের ছয় পেশাদার ক্রুর সঙ্গে তার এই নভোপর্যটন মিশনের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ণকে রয়টার্স বর্ণনা করেছে “সিম্বোলিক মাইলস্টোন” হিসেবে।

মাটি ছাড়ার এক ঘণ্টারও বেশি সময় পরে তিনি নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসেন।

ফ্লাইটের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই এই মুহুর্তের স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু সত্যি বলতে কী  মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দৃশ্যের জন্য আসলে কোনো প্রস্তুতিই মূল অভিজ্ঞতার কাছাকাছি নয়।”

“পুরো বিষয়টি ছিল যাদুকরী।”

আরও একটি কারণে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ইতিহাসের খাতায় তোলা থাকবে। ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উদ্যোগে তৈরি যানে মহাকাশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্যার রিচার্ড অগ্রদূত হয়ে থাকবেন। ধারণা করা হচ্ছিল খেতাবটি পেতে যাচ্ছেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। কিন্তু নিজের ৭১তম জন্মদিনের এক সপ্তাহ আগে যেন নিজেই নিজেকে জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহারটি দিলেন এই অভিযাত্রী।

রকেট প্লেন ইউনিটিতে চড়ে স্যার রিচার্ড ভূ-পৃষ্ঠ থেকে দুই লাখ ৮২ হাজার ফিট বা ৮৫ কিলোমিটারর উচ্চতায় পৌঁছান। তার সঙ্গে ছিলেন রকেট যানের দুই পাইলট, ডেভ ম্যাকেই ও মাইকেল মাসুচ্চি এবং তিনজন মিশন স্পেশালিস্ট বেথ মোজেস, কলিন বেনেট এবং সিরিশা ব্র্যান্ডলা।

ভূমিতে ফিরে আসার পর তিন মিশন স্পেশালিস্টের সঙ্গে স্যার রিচার্ডকে বাণিজ্যিক নভোচারীর উইং পরিয়ে দেন স্পেস স্পেশনের সাবেক কমান্ডার ও কানাডীয় নভোচারী ক্রিস হ্যাডফিল্ড।

আগামী বছর থেকেই স্যার রিচার্ড মহাকাশ পর্যটনের জন্য টিকেট বিক্রি শুরু করার পরিকল্পনা করেছেন। তার আগে এটি ছিল পূর্ণ ক্রুসহ টেস্ট ফ্লাইট।

প্রায় ছয়শ’ ব্যক্তি ইতোমধ্যেই প্রায় আড়াই লাখ ডলারের টিকেট কিনে এই অভিজ্ঞতার জন্য সিট বরাদ্দ করে রেখেছেন বলে জানিয়ে ভার্জিন গ্যালাকটিক।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button