আইন-আদালত

মামলাটি ঢাকার আদালতে বদলি চান মিন্নি

বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলা এখন সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। মামলাটি ঢাকার আদালতে বদলি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তার স্ত্রী ও মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। বরগুনায় তার জীবনের শঙ্কা থেকে এ আবেদন করা হয়েছে।

রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

২০১৯ সালের ২৬ জুন রিফাতকে বরগুনায় সড়কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেই সময় স্বামীকে বাঁচাতে মিন্নির চেষ্টার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়। পর দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকে। পরে মিন্নির শ্বশুর তার ছেলের হত্যাকাণ্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করলে আলোচনা নতুন দিকে মোড় নেয়।

১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পর দিন আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মিন্নিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

রিমান্ডের তৃতীয় দিন শেষে মিন্নিকে আদালতে হাজির করা হলে সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানায় পুলিশ। বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত এবং জেলা ও দায়েরা জজ আদালতে মিন্নির জামিন আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ার পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মিন্নি।

২৯ আগস্ট মিন্নিকে জামিন দেন হাইকোর্ট। জামিনের শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে– মিন্নি তার বাবার জিম্মায় থাকবে এবং মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর ২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন।

পর দিন ৩ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান মিন্নি।

এর আগে ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক, দুভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক রয়েছেন।

পাশাপাশি রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ছয় আসামি জামিনে রয়েছেন। বাকিরা কারাগারে।

বর্তমানে মামলাটি বরগুনার আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button