সারাদেশ

রৌমারী সীমান্তে বিএসএফ’র ককটেলে ৩ গরু ব্যবসায়ি আহত

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র ছোড়া ককটেল বিস্ফোরনে বাংলাদেশি তিন গরু ব্যবসায়ি গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তাদের পরিবার সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু নামানোর সময় টহলরত বিএসএফ সদস্যরা চোরাকারবারিদের লক্ষ করে ওই ককটেল ছোড়ে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার খেতারচর সীমান্তের ঘটনা এটি।

আহতদের পরিবার ও সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ভোররাতের দিকে বাংলাদেশি একদল গরু ব্যবসায়ি আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ১০৫৫ এর নিকটে খেতার সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু নামাতে যায়। গরু নামানোর মাঝামাঝি সময়ে ভারতের দ্বীপচর ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা চোরাকারবারিদেরকে ধাওয়া করে। এক পর্য়ায়ে বেশ কয়েকটি ককটেল ছোড়ে বিএসএফ সদস্যরা। ককটেলের আঘাতে রফিকুল ইসলাম (৩৫), মনছের আল (৪০) ও ময়নাল হক (৩৭) নামের তিন চোরাকারবারি মারাত্মক ভাবে আহত হয়।
এ অবস্থায় সঙ্গীরা তাদেরকে উদ্ধার কেের নিয়ে আসে। গ্রামের পল্লী চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গোপনে আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তিনজনই চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। আহত তিজনের মধ্যে দুইজনের বাড়ি একই সীমান্ত এলাকা খেতার গ্রামে আর ময়নাল হকের বাড়ি কাউনিয়ারচর গ্রামে বলে জানা গেছে। পুলিশ ও বিজিবির ভয়ে গরু ব্যবসায়িরা আহতদের গোপনে রংপুরে পাঠায় চিকিৎসার জন্য-এমন তথ্য জানিয়েছেন গরু ব্যবসায়িরা। একই আশংকায় আহতদের পরিবার খেতার চরের লাকু মিয়া ও বারেক মুন্সীও ভয়ে রয়েছেন। তবে তারা আহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দাঁতভাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার জয়েন উদ্দিন বলেন, ‘বিএসএফ’র ককটেল বিস্ফোরনে ৩ বাংলাদেশি আহত হওয়ার খবর আমরাও শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু কেউ আমাদের অবহিত করেনি। আহত হয়ে থাকলে তারা কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছে সেটাও আমাদের জানানো হয়নি। সীমান্তবাসিদের বার বার বলা হচ্ছে, সচেতনতার জন্য সভা করা হয়েছে। তারপরও তারা অবৈধ পথে গরু নামাতে যাচ্ছে।’

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button