অর্থনীতিজাতীয়

কেমন অর্থনীতি চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু?

স্বাধীনতার পর চার বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ঘাতকের হাতে প্রাণ দিতে হয় বঙ্গবন্ধুকে। কিন্তু সেই সেই সময়ের মধ্যেই নবগঠিত দেশকে মর্যাদার আসনে নিয়ে যেতে বড় কাজগুলোর সূচনা করে দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

বাংলাদেশকে কীভাবে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা? কী ছিল তার অর্থনৈতিক দর্শন?

বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগত সচিবের দায়িত্ব পালন করা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের ভাষায়, সত্তরের দশকের সেই বিশ্ব বাস্তবতায় এই বাংলার একজন সমাজতন্ত্রী না হয়ে ‘একজন প্রয়োগবাদী সাহসী অভিভাবক’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

“তাই সংবিধানের ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সম্পদের মালিকানার ধরন হবে রাষ্ট্রীয়, ব্যক্তিগত এবং সমবায়ভিত্তিক। কাজেই তিনি বাংলাদেশি ধারায়, বাঙালি গণমানুষের উপযোগী সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিলেন এবং সেই বিশ্বাসে অটল ছিলেন।”

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে বুধবার এক ভার্চুয়াল সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করছিলেন ফরাসউদ্দিন।  সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল- ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন: শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ’।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান একং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ছিলেন আলোচকদের মধ্যে।

মূল প্রবন্ধে ফরাসউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭ সালেই বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র করার দৃঢ় সংকল্পের কথা বলেছিলেন কবি অন্নদাশঙ্কর রায়কে।

১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরুর পর নানা বিষয়ে মতদ্বৈততা ও বিতর্ক এমনিতেই ছিল। তার মধ্যে ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনের পর মাওলানা ভাসানী সমাজতান্ত্রিক ধারা নিয়ে দল থেকে আলাদা হয়ে যান। কিন্তু মূল ধারায় সোহরাওয়ার্দীকে সামনে নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ধারাটি শক্তিশালী করেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button