জাতীয়রাজনীতিলিড নিউজ

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জীবন বীমা কাজে লাগতে পারে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জীবন বীমা কাজে লাগতে পারে। এটা করা গেলে বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ঝুঁকিতে থাকা সব দেশের জনগণ লাভবান হবেন। কোনো কোনো দেশে এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশেও এটা নিতে পারি।

মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ক্ষুদ্র বীমা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়জনিত ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশে বীমা ব্যবস্থার প্রয়োগ এখনো কিন্তু তেমন নেই। আমি আশা করি আজকের এই অনুষ্ঠানের পর যারা বীমার সঙ্গে জড়িত তারা এ ব্যাপারে ভূমিকা পালন করবেন, যাতে এই ঝুঁকিপূর্ণ মানুষগুলো বাঁচতে পারেন; যদিও ঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা যথেষ্ট কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। যারা নিম্ন আয়ের মানুষ এবং জলবায়ু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তাদের জীবন-মান কীভাবে নিরাপদ করা যায় তা নিয়ে আমরা ভাবছি। তাদের বিশেষভাবে বীমা স্কিম করে দিলে তারা অনেকটা নিশ্চিত থাকতে পারেন। এ ধরনের ব্যবস্থা নিলে, তা হবে একটি নতুন পদক্ষেপ।

তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ কর্মসূচি হাতে নিয়ে তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। মানুষকে জলবায়ু ঝুঁকি থেকে মুক্ত করে তাদের জীবন-মানের উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহনীয় ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছি। সাইক্লোন শেল্টারও নির্মাণ করে দিচ্ছি। জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছি। উৎপাদন ও অর্থনীতিকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে বীমা কোম্পানিগুলোকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। বীমা কোম্পানির মালিকদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, শুধু মুনাফা অর্জনের দিকে না তাকিয়ে, সমাজের প্রতি যে একটা দায়বদ্ধতা আছে, সেদিকে আপনারা একটু দৃষ্টি দেবেন। সেটাই আমরা চাই।

তিনি আরও বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল। বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ, সেজন্য এখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে। ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা হওয়ায় এখানে প্রতিনিয়ত আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে থাকি।

সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে সপ্তম। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় তৃণমূল আরও শক্তিশালী হচ্ছে। মানুষ ধীরে ধীরে দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে ৪১ ভাগ দারিদ্র্যের হার কমিয়ে ২১ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আমাদের লক্ষ্য এটা আরও কমিয়ে ১৬ বা ১৭ ভাগে নামিয়ে আনা। আমি আশা করি এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিশেষজ্ঞরা পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে ভূমিকা রাখবেন। তারা মূলত বীমার মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় আরও ফলপ্রসূ ও বাস্তবমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button