বেপরোয়া বাসের চাপায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী চৌধুরীর পা হারানোর ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় মামলাটি করেন কৃষ্ণা রানীর স্বামী রাধে শ্যাম চৌধুরী।
রাধে শ্যাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, কৃষ্ণাকে চাপা দেওয়ার ঘটনায় বাসের মালিক, চালক ও চালকের সহকারীকে অভিযুক্ত করে হাতিরঝিল থানায় তিনি মামলাটি করেছেন। এই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চাইবেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁরা এতে ক্ষতিপূরণ চাইবেন। তবে কৃষ্ণা রানীর অফিস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা, চাকরির মেয়াদসহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা হবে। পরে অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করবেন।
মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ।
হাতিরঝিল থানা সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণ রানী চৌধুরীর দুর্ঘটনার মামলায় আসামি তিনজনের মধ্যে বাসচালক হিসেবে মোর্শেদ নামের একজনকে দায়ী করা হয়েছে। এ ছাড়া অপর দুই আসামি বাসমালিক ও চালকের সহকারীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলায় বেপরোয়া গতিতে বাস চালিয়ে কৃষ্ণা রানীকে গুরুতর জখমের অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় ট্রাস্ট পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মঙ্গলবার দুপুরে পা হারান বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক কৃষ্ণা রায় চৌধুরী। বর্তমানে তিনি শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন। কৃষ্ণার শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চাইলে রাধে শ্যাম চৌধুরী বলেন, তাঁর অবস্থার কথা এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। ডাক্তারের বরাতে তিনি বলেন, দুই থেকে তিন দিন যাওয়ার পরে কৃষ্ণার শারীরিক অবস্থার সম্পর্কে জানা যাবে।