জাতীয়

ভোলা গ্যাসক্ষেত্র গ্যাসপ্রমকে দেওয়া জাতীয় স্বার্থ বিরোধী: আনু মুহাম্মদ

বাপেক্স আবিষ্কৃত ভোলা গ্যাসক্ষেত্র গ্যাসপ্রমকে দেওয়া জাতীয় স্বার্থ বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি জাতীয় স্বার্থ বিরোধী ওই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে ভোলামুখী পদযাত্রা দিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার বিকেলে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই ঘোষণা দেন।

সুন্দরবন থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ভারত-চীন-জাপানের উপকূল বিনাশী সকল প্রকল্প বাতিল, ভোলার গ্যাসক্ষেত্র থেকে রাশিয়ান কম্পানি হঠাও এবং জাতীয় কমিটির স্বনির্ভর সুলভ পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির ঢাকা মহানগর শাখার সমন্বয়ক জুলফিকার আলী।

সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সমুদ্রের গ্যাস সম্পদ বিদেশি কম্পানির মাধ্যমে রপ্তানি এবং বাপেক্স আবিষ্কৃত ভোলার গ্যাসক্ষেত্র রাশিয়ান কম্পানিকে দিয়ে সরকার কমিশনভোগীর ভূমিকা গ্রহণ করেছে। গ্যাসক্ষেত্রের সুষ্ঠু ব্যবহার করলে কক্সবাজার থেকে সুন্দরবন দেশবিনাশী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে হবে না। কমিশন আর ক্ষমতার লোভে সরকার রামপাল, রূপপুরসহ বিভিন্ন প্রকল্প করে দেশ বিদেশের লুটেরা গোষ্ঠীর প্রতিনিধির ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, জাতীয় কমিটির সুলভ, পরিবেশ বান্ধব, স্বনির্ভর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে না, সুন্দরবনসহ উপকূলও রক্ষা পাবে। তিনি সুন্দরবন থেকে কক্সবাজার, ভারত-চীন, জাপানের উপকূল বিনাশী সকল প্রকল্প বাতিল করে ভোলার গ্যাসক্ষেত্রে থেকে রাশিয়ান কম্পানি হঠানো এবং জাতীয় কমিটির স্বনির্ভর, সুলভ, পরিবেশ বান্ধব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন বজলুর রশীদ ফিরোজ, রুহিন হোসেন প্রিন্স, অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, আকবর খান, শহিদুল ইসলাম সবুজ, নাসির উদ্দিন নাসু, মনিরউদ্দিন পাপ্পু, খান আসাদুজ্জামান মাসুস, মাসুদ রানা প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button