জাতীয়রাজনীতিলিড নিউজ

শ্রমিক লীগের ১২তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি। শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় একযোগে শ্রমিক লীগের ৭৪টি সাংগঠনিক জেলার দলীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উপস্থিত আছেন।

সম্মেলন ঘিরে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সম্মেলন মঞ্চ ও প্যান্ডেল নির্মাণ ছাড়াও সম্মেলন স্থল ও আশপাশের সড়কগুলোকে বর্ণাঢ্য সাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।

এতে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের ইতিহাস ঐতিহ্যের পাশাপাশি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়েছে। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সারা দেশে সংগঠনটির ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা থেকে ৮ হাজার কাউন্সিলর ও সমসংখ্যক ডেলিগেটস যোগ দিয়েছেন।

১৯৬৯ সালের ১২ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা পায় জাতীয় শ্রমিক লীগ। সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয়। তখন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান নারায়ণগঞ্জের শ্রমিক নেতা শুকুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক হন জনতা ব্যাংক ট্রেড ইউনিয়নের নেতা সিরাজুল ইসলাম। দুই বছর মেয়াদি ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ৪ বছর আগে।

শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে প্রতিষ্ঠিত হলেও এক্ষেত্রে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেনি- এমন অভিযোগ আছে শ্রমিক লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে। তদবির বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনৈতিক পন্থায় নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। সরকারের শুদ্ধি অভিযানের কারণে সংগঠনের পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতরা তটস্থ রয়েছেন। ফলে বড় ধাক্কা ও নানা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে এবার কেন্দ্রীয় সম্মেলন হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা- এবার সংগঠনের নেতৃত্বে পরিবর্তন ও রদবদলের মাধ্যমে তুলনামূলক স্বচ্ছ, কর্মীবান্ধব নেতাদের ঠাঁই হবে।

এদিকে শ্রমিক লীগের সভাপতি পদে আলোচনায় আছেন শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান আকন্দ, বর্তমান কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সহ-সভাপতি শাহজাহান খান, সরদার মোতাহের উদ্দিন, নূর কুতুব আলম মান্নান, আমিনুল হক ফারুক, মো. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, মোল্লা আবুল কালাম আজাদ।

এছাড়া বর্তমান সভাপতি শুকুর মাহমুদ ফের পদে থাকতে চান। অন্যদিকে সভাপতি পদে আসতে চান বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক পদের দৌড়ে আরও আছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন।

তাদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, খান সিরাজুল ইসলাম, মু. শফর আলী, প্রচার সম্পাদক কেএম আযম খসরু, দফতর সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, অর্থবিষয়ক সম্পাদক সুলতান আহমেদ, শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পদক কাউসার আহমেদ পলাশ, ক্রাফট ফেডারেশন বিষয়ক সম্পাদক এটিএম ফজলুল হক আলোচনায় রয়েছেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button