ক্যানসার প্রতিরোধে আতা ফল
আতা একটি পরিচিত ফল। অনেকেই আতাকে আতা ফল নামে চেনেন। এটি শরিফা ও নোনা নামেও পরিচিত। এই ফলটিকে কম বেশি সবাই চেনে। অনেকের কাছে আতা খুবই প্রিয় একটি ফল। ছোট ছোট কোষ থাকে এই ফলের ভেতরে। প্রতিটি কোষে একটি করে বীজ থাকে। বীজের চারপাশ ঘিরে থাকা রসালো এবং নরম অংশই খেতে হয়। আতা ফলের অনেক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। এই ফলটি ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর। বছরের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে আতা ফল কিনতে পাওয়া যায় বাজারে। আপনার ডায়েটে কি আতা ফল রেখেছেন? তাহলে জেনে নিন আতা ফলে কী কী খাদ্যগুণ রয়েছে।
ডায়াবেটিস থাকলে আতা ফল খাবেন না:
ডায়াবেটিস রোগীরা আতা ফল খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। আতা ফলে রয়েছে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫৪। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে আতা ফল বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই কোনোভাবেই আতা ফল খাবেন না ডায়াবেটিস রোগীরা।
হার্টের রোগীদের জন্য আতা ফল খুবই উপকারী:
আতা ফলে থাকা ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ হার্টের জন্য খুবই উপকারী। হার্টকে ভালো রাখতে আপনি আতা ফল খেতে পারেন।
হজম শক্তি বাড়াতে আতা ফল খান:
আতা ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি সিক্স ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে। গ্যাস, অম্বল, বদহজম থেকে বেশ উপকারী আতা ফল।
পিসিওডির সমস্যায় আতা ফল নিষেধ:
এটি একটি ভুল ধারণা। ফার্টিলিটি বৃদ্ধিতে কাজে লাগে এই ফলটি। আতা ফলে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে। আতা সারা দিনের ক্লান্তি দূর করতে ভূমিকা রাখে। এই আতা ফলের চামড়া, দৃষ্টিশক্তি, মস্তিষ্কে উন্নতি ও ক্যানসার প্রতিরোধ করে।