জাতীয়রাজনীতি

বিএনপির প্রার্থী ‘সুপরিকল্পিতভাবে’ হামলা করেছে: আমু

গোপীবাগে সংঘর্ষের দায় বিএনপিকে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সেখানে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে ‘সুপরিকল্পিত হামলার’ অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।

সংঘর্ষের কয়েক ঘণ্টা পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল। সেই মুহূর্তে হামলার ঘটনা। আর এই ঘটনা নিয়ে আমাদের সংবাদ সম্মেলন করতে হচ্ছে এটা দুঃখজনক।

“বিএনপি গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসছে মনে করে আমরা স্বাগত জানিয়েছিলাম, সাধুবাদ জানিয়েছিলাম। গণতান্ত্রিক ধারা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে চলবে এই আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল।”

রোববার দুপুরে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলা ওই সংঘর্ষের মধ্যে এক সংবাদকর্মীসহ ডজনখানেক লোক আহত হয়েছেন।

বিএনপি কর্মীরা বলছেন, দুপুর ১টার দিকে ইশরাক মিছিল নিয়ে গোপীবাগে নিজের বাসার দিকে যাওয়ার সময় সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের মোড়ে ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা’ তাদের ওপর হামলা করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইশরাকের মিছিলের সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিক কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যাডমিনটন মার্কার রোকন উদ্দিন আহমেদ এবং সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর পদের প্রার্থী লাভলী চৌধুরীর কর্মীরা উপস্থিত হন ওই মোড়ে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি স্লোগানের এক পর্যায়ে উত্তেজনা এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে হয় ঢিল ও চেয়ার।

সংঘর্ষের পরে সংবাদ সম্মেলন করে ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেন, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন বানচাল করতেই সরকারি দল প্রচারে হামলা চালিয়েছে।

আমু বলেন, “আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ফজলে নূর তাপসের নির্বাচনী কার্যালয়ে ওই এলাকার কাউন্সিলর যখন প্রবেশ করেছে, ঠিক সেই মুহূর্তে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে আমাদের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা শুরু করে।

“আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বলেছে, এই এলাকায় বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা করার কোনো সিডিউল ছিল না। অর্থাৎ প্রচারণায় যাওয়ার পরে এ ঘটনা ঘটেনি এটা পরিষ্কার। এটা তারা হঠাৎ করে করেছেন।”

আমির হোসেন আমু্ বলেন, “এটা আমাদের উপর তাদের সুপরিকল্পিত আঘাত। এটা আগামী দিনে নির্বাচন বানচালের একটি ইঙ্গিত। আগে থেকে বিএনপি নেতারা যা বলে আসছে এটা তার প্রমাণ।

“আজকে আমাদের প্রার্থীর অফিসের সামনে আট রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। প্রায় ৫০ জনের মত আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে ৩৫ জন ভর্তি আছে।”

এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও আরও সতর্ক ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।”

সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে বলে জানান আমু।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গির কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুরে হোসেন নিখিল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button